নিজস্ব সংবাদদাতা | | Editor: শ্যামশ্রী সাহা ০১ মার্চ ২০২৪ ২০ : ৫১

দেবী চৌধুরাণী’ আদৌ হবে তো? নাকি পুরোটাই পরিচালক শুভ্রজিৎ মিত্রর রটনা?

View this post on Instagram

A post shared by ADited Motion Pictures (@adited_motion_pictures)

কিছুদিন আগে এমনই চর্চায় টলিপাড়ায় কান পাতা যাচ্ছিল না। প্রকৃত ঘটনা জানতে আজকাল ডট ইন সেই সময় পরিচালকের সঙ্গে কথা বলেছিল। শুভ্রজিৎ কোনও উত্তর দেননি। জানিয়েছিলেন, সময় উত্তর দেবে। জানুয়ারির শেষ থেকে ছবির শুট শুরু। কলকাতা, পুরুলিয়া মিলিয়ে প্রথম পর্বের শুট শেষ। সম্পাদনার কাজও শুরু। সম্প্রতি প্রকাশ্যে লুক সেটের কিছু নেপথ্য ছবি। যা দেখে নতুন করে চর্চা শুরু। কী সেটা? ছবি ঘোষণার প্রথম দিন থেকে শুভ্রজিৎ-শ্রাবন্তীর রসায়ন নিয়ে ফিসফাস গুনগুন। শুক্রবার প্রকাশ্যে আসা সব ছবিতে কমবেশি তারই যেন ছায়া! তার মধ্যে একটি ছবি বেশি চর্চায়। 



শ্রাবন্তী সিঁদুরে নববধূ সাজে। পরিচালক তাঁকে কানে কানে কিছু বলতেই সিঁদুরমাখা মুখ লজ্জারাঙা! কী শুনে এত লজ্জা নায়িকার? কৌতূহল টলিউডের। ছবি দেখে তাঁদের রসায়ন নিয়ে নতুন করে চর্চার নেপথ্যে সদ্য ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিও। রাজর্ষি দে-র ‘সাদা রঙের পৃথিবী’র প্রিমিয়ার শেষে বেরোনোর সময় নায়িকার পাশে পরিচালক। বেখেয়ালে তাঁর পা গিয়ে পড়েছে নায়িকার দুধসাদা লেহেঙ্গায়। ব্যস, টান পড়তেই নায়িকা ফিরে দাঁড়িয়েছেন তাঁর দিকে। তারপরেই ছদ্ম ঝাঁঝে মিষ্টি বকুনি, ‘‘তুমি তো সারাক্ষণ আমার পোশাক মাড়িয়েই গেলে!’’ বলেই অপ্রতিভ তিনি। হাসি দিয়ে লজ্জা ঢাকার ব্যর্থ চেষ্টা। ধবধবে ফর্সা গাল নিমেষে রাঙা। সমান অপ্রস্তুত পরিচালকও। তিনিও লাজে রাঙা। কিন্তু এই রসায়ন কী আর বশে থাকে? বাংলার পাপারাৎজিদের ক্যামেরাবন্দি সেই দুষ্টুমি সামাজিক পাতায় ভাইরাল। ৭৭ লক্ষেরও বেশি দর্শক সাক্ষী শুভ্রজিৎ-শ্রাবন্তীর রয়াসনের। 



আজকাল ডট ইন জানতে যোগাযোগ করলে পরিচালকের সাফ জবাব, ‘‘অকারণ গুঞ্জন নিয়ে একটাও কথা বলব না। ‘দেবী চৌধুরাণী’ আমার স্বপ্নের ছবি। পোশাক, অস্ত্র, মহড়া, শুটিং—সব কিছু নিখুঁত করার চেষ্টা করছি। কারণ, একটি বিশেষ যুগ, বাংলার এক বিশেষ অনুভূতি তুলে ধরবে এই ছবি। প্রতিটা মুহূর্তে আমাদের পরিশ্রমের ছাপ স্পষ্ট। ছবির বাইরে পুরো টিমের আর কিচ্ছু মাথায় নেই।’’ 



প্রকাশ্যে আসা ছবিতে পরিচালক নায়িকা ছাড়াও সহ-অভিনেতাদেরও সাজ-পোশাক ঠিক করে দিয়েছেন। যেমন, বিবৃতি চট্টোপাধ্যায়, দর্শনা বণিক, কিঞ্জল নন্দ, অর্জুন চক্রবর্তী, সব্যসাচী চক্রবর্তী প্রমুখ। কে, কীভাবে অস্ত্র ধরবেন, কোন ভঙ্গিতে দাঁড়ালে স্থির চিত্রও হবে জীবন্ত— নিজে দাঁড়িয়ে ঠিক করে দিয়েছেন। ছবিতে ধনুক হাতে অর্জুন যেন এক টুকরো ‘মহাভারত’! জমিদার বেশে সব্যসাচী যেন বইয়ের পাতা থেকে উঠে এসেছেন। তলোয়ারের হাতল এবং খাপ জঙ্গলে ক্যামোফ্লেজ করতে তাতে পাটের কাপড় জড়ানো হয়েছে। কিন্তু যখনই তিনি শ্রাবন্তীর সামনে তখনই ক্যামেরা অন্য কথা বলছে! কখনও সন্ন্যাসিনী বেশে নায়িকা হেসে ফেলেছেন পরিচালকের কথায়। কখনও আটপৌরে বেশে ঠোঁট ফুলিয়ে দাঁড়িয়ে শুভ্রজিতের সামনে। পরিচালক কোমরে হাত দিয়ে রীতিমতো কড়া চোখে যেন দেখে নিচ্ছেন তাঁর সাজের খুঁটিনাটি। নায়িকার চোখের কোণে জল টলমল!